আশিক চৌধুরী বাংলাদেশে কাজ শুরু করার গল্প। সরকারি চাকরির আজকে এক মাস হলো। সেপ্টেম্বর এর মাঝামাঝি এক দুপুরে প্রফেসর ড. ইউনুস হঠাৎ ফোন করে বললেন, “আশিক, দেশের মানুষের সেবা করার সুযোগ পাওয়া গেছে। আসবা নাকি?” আমি নন্দিনীকে জিজ্ঞেস না করেই রাজি হয়ে গেলাম।
আশিক চৌধুরী (জন্মনাম চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন) একজন বাংলাদেশী ব্যাংকার এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান।
আশিকের জন্ম চাঁদপুরে, তবে তার বাবার পোস্টিংয়ের কারণে তার শৈশব কাটে যশোর। তিনি সিলেট ক্যাডেট কলেজে পড়াশোনা করেছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট থেকে ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। তিনি লন্ডন বিজনেস স্কুল থেকে ফাইন্যান্সে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। এছাড়া তিনি চার্টার্ড ফাইন্যান্সিয়াল অ্যানালিস্ট। তিনি একজন শৌখিন স্কাইডাইভারও।
জানতাম ও কোনোদিন মানা করবে না।সো ৫৯ সেকেন্ডের এক হোয়াটসঅ্যাপ কলে আমরা সিঙ্গাপুরের বিলাসী জীবন ছেড়েছুঁড়ে দেশের পথে রওনা দিলাম বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে, বন্ধুদের ভাষায় বাংলাদেশের চিফ মার্কেটিং অফিসার হিসেবে।
গত এক মাস শুক্র-শনিবারসহ দিনে ১৮ ঘণ্টা কাজ করেও কূল পাচ্ছি না। প্রায় আড়াইশো সিইও, ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে বুঝার চেষ্টা করছি তাদের সমস্যাগুলো কোথায় আর কি করে তার সমাধান করতে পারি। নতুন ইনভেস্টমেন্ট কিভাবে আনতে পারি।
চেষ্টা চলছে। ফেইল করা যাবে না। আমরা জনগণের সরকার। তাই প্রত্যাশা অনেক। অনেকটা জাতীয় ক্রিকেট দলের মত। সবাই চায় আমরা জিতি। কিন্তু পরের বলটা একটু খারাপ হলেই সবাই হা হা করে উঠে। টিম সিলেকশন, বোলার সিলেকশন, ফিল্ড সেটিং, এইসব নিয়ে নানা সমালোচনা। ম্যাচে সবাই ভালো বল করবেনা এটাই স্বাভাবিক। তা নিয়ে দলের সমর্থকরা গালাগালি করবে তাও স্বাভাবিক। দলটাতো আমাদের।
কয়দিন আগেও এইসব করা কবিরা গুনাহ ছিলো। তাই দিনশেষে টায়ার্ড হয়ে ফেসবুক খুলে যখন মনে হয় আমার বউ ও বিরোধী দল, তখন নিজেকে বুঝাই: এটাই তো আসলে বাক স্বাধীনতা। হোক না সমালোচনা। আমরা ভুল করব। তারপর শুধরাবো। আমাদের দেশটা আস্তে আস্তে ঠিক রাস্তায় হাটবে।